× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

সারা দেশ
স্ত্রীর সঙ্গে থাকার সুযোগ ৫৪ জনের দণ্ডিত ১১  
google_news print-icon

সাজা নয়, আদালত দিল ফুল ও চকলেট

সাজা-নয়-আদালত-দিল-ফুল-ও-চকলেট-
সুনামগঞ্জে নারী নির্যাতনের ৬৫টি মামলায় এক দিনে রায় দিল একটি আদালত। একটু ভিন্নধর্মী রায় দিয়ে ৫৪ দম্পতিকে মিলেমিশে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন বিচারক। তবে গুরুতর অপরাধ থাকায় ১১ জনকে দেয়া হয়েছে কারাদণ্ড।

যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলায় ভিন্নধর্মী রায় দিয়ে আলোচনা তৈরি করেছে সুনামগঞ্জের একটি আদালত। ৬৫টি মামলার মধ্যে যেগুলোর অভিযোগ গুরুতর নয়, এমন ৫৪ দম্পতির মধ্যে ভাব ভালোবাসা ফিরিয়ে আনতে অনন্য এক উদ্যোগ নিয়েছেন বিচারক।

দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে আবার একসঙ্গে থাকবেন, এমন প্রত্যাশা করে তাদের ফুল ও চকলেট দেয়া হয়েছে। তবে গুরুতর অভিযোগ আছে এমন ১১ জনকে দেয়া হয়েছে নানা মেয়াদের কারাদণ্ড।

সোমবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন।

মামলার হয়রানি ও সংসার এবং দম্পতিদের সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এই পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন বিচারক।

প্রথমে তাদের স্বামীদের ভালো হওয়ার সুযোগ দেয়া হয়, পরে দুই পক্ষের মধ্যে আপস মীমাংসা করে সোমবার দুপুরে ফুল ও চকলেট দিয়ে স্বামী ও তাদের স্ত্রীদের সংসার করার নির্দেশ দেয় আদালত।

তবে আরও ১১টি পরিবার একীভূত করতে সক্ষম না হওয়ায় এবং নির্যাতিত স্ত্রী ও তাদের সাক্ষীরা স্বামীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়ায় আসামিদের দেড় বছর করে কারাদণ্ড দেয় আদালত।

তারা হলেন নূরুল ইসলাম, মো. শামীম, নজরুল ইসলাম, শাহেদ চৌধুরী, রকিবুল ইসলাম, ইমরান আহমদ, আল-আমিন, মো. সোহেল মিয়া, মইন উদ্দিন ও রিপন মিয়া।

স্বামীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে নির্যাতন মামলা করেন দোয়ারাবাজার উপজেলার মামুনপুর গ্রামের মিনারা বেগম। তবে স্বামী তার ভুল বুঝতে পারায় এবং আদালত আবার সংসার করার সুযোগ দেয়ায় তিনি খুশি। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি রায়ে খুশি। আদালত আমরার ভবিষ্যতের চিন্তা করিয়া আমরা দুইজনরে এক করিয়া দিসুইন আমরা খুশি।’

সাজা নয়, আদালত দিল ফুল ও চকলেট

তার স্বামী সমুজ আলী বলেন, ‘আদালত আমারে সুযোগ দিসুইন সংসার করার লাগি। আমরারে ফুল দিসুইন, চকলেট দিসুইন। আমরা আদালতের কথা মানিয়া চলাম। সুখে শান্তিতে সংসার করাম।’

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি নান্টু রায় বলেন, ‘এটি একটি যুগান্তকারী রায়। এর আগেও ৪৭টি মামলার একইভাবে রায় দেয় আদালত। এই রকম রায়ে আদালতে মামলা জট কমবে। এভাবে দ্রুত মামলার রায় হলে বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের জন্য ভালো।’

আরও পড়ুন:
বিচারককে মারধর, আ. লীগ নেতার ছেলে রিমান্ডে
বিচারককে মারধর, আ. লীগ নেতার ছেলে আটক
সব ধর্মের মিলিত সংস্কৃতিই বাঙালি সংস্কৃতি: প্রধান বিচারপতি
ব্যাগে কাটা মাথা দেখে হত্যা: ‘সাক্ষী পায়নি’ পুলিশ
‘বিচার দেইখা মনে হয় মরতে পারমু না’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সারা দেশ
Photo Exhibition and Voluntary Blood Donation Program to commemorate the July Up to BMU

বিএমইউ’তে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ফটো এক্সিবিশন ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি

বিএমইউ’তে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ফটো এক্সিবিশন ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি

বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে বিএমইউ’র শহীদ ডা. মিলন হলের সম্মুখ করিডোরে ফটো এক্সিবিশন উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম।

এ এক্সিবিশনে ১৬ই জুলাই শহীদ আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড ও ৫ আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার বিজয়সহ জুলাই বিপ্লবের নানা ঐতিহাসিক ঘটনাসমূহ স্থিরচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।

একই সাথে শহীদ ডা. মিলন হলে ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি ও ফ্রি স্ক্রিনিং এবং রক্তদাতা নিবন্ধীকরণ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এছাড়া এদিন জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালনের অংশ হিসেবে সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ করা হয় এবং বাদ যোহর জুলাই শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিএমইউ’র কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এ সকল কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীবৃন্দ অংশ নেন।

গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ স্মরণে ফটো এক্সিবিশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, জুলাই বিপ্লব বৈষম্যহীন ও ন্যায়ভিত্তিক একটি অধিকারপূর্ণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় চিরকাল অনুপ্রেরণা যোগাবে। জুলাই বিপ্লবের প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিসহ সব দিক দিয়ে দেশকে সামনে দিকে এগিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে।

বিএমইউ’র প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আগে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীন দেশে পরাধীন ছিল। ক্ষমতার জন্য নিজ দেশের নিজ সন্তানকে হত্যা করা যায়, এটা ভাবা যায় না। ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’- এ কথা স্মরণে রেখে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে। তা না হলে ফ্যাসিবাদরা পুনরায় সুযোগ নিবে।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে আয়োজিত এই প্রদর্শনীকে মনের চোখ দিয়ে দেখতে হবে। চিন্তা-চেতনায় জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করতে হবে। প্রাত্যহিক কর্মে এর প্রতিফলন থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে দেশ ও জাতি পুনর্গঠনে কাজ করতে হবে।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার বলেন, আবু সাঈদ, ওয়াসিম ও মুগ্ধসহ আমরা যেন জুলাই শহীদের ভুলে না যাই। তাদের স্মৃতিকে সংরক্ষণ করতে হবে। জুলাই চেতনাকে অন্তরে ধারণ করতে হবে এবং জুলাই বিপ্লবের চেতনা ও আদর্শে বাংলাদেশকে গঠন করতে হবে।

বিএমইউ’র রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন, ডেন্টাল অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ন্ত ও ডা. এমদাদুল হক ইকবাল। এ সময় বিএমইউ’র সম্মানিত পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার শফিকুল হাসান রতন, সহকারী প্রক্টর ডা. রিফাত রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) নাছির উদ্দিন ভূঞাঁ, অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মোহাম্মদ বদরুল হুদা, মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের একান্ত সচিব ডা. মো. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. লুৎফর রহমান, উপ-রেজিস্ট্রার সাবিনা ইয়াসমিন, উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, উপ-রেজিস্ট্রার ইয়াহিয়া ও সেকশন অফিসার (জনসংযোগ, অতিরিক্ত দায়িত্ব) শামীম আহম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সারা দেশ
Gopalganj violence will be brought to the trial of those who are unforgivable interim government

গোপালগঞ্জের সহিংসতা ‘অমার্জনীয়’, দায়ীদের বিচারে আনা হবে: অন্তর্বর্তী সরকার

গোপালগঞ্জের সহিংসতা ‘অমার্জনীয়’, দায়ীদের বিচারে আনা হবে: অন্তর্বর্তী সরকার

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলার ঘটনাকে ‘সম্পূর্ণরূপে অমার্জনীয়’ উল্লেখ করে ওই হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বুধবার (১৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানায়।

বিবৃতিতে সরকার বলেছে, ‘এটা সম্পূর্ণরূপে স্পষ্ট করে বলা দরকার যে, আমাদের দেশে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত করা হবে।’

সরকার বলেছে, তরুণ নাগরিকরা তাদের বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছর পূর্তি উদযাপনের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চেয়েছিল। এই সমাবেশে বাধা দেওয়া তাদের মৌলিক অধিকারের ‘লজ্জাজনক লঙ্ঘন’।

প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), পুলিশ এবং গণমাধ্যমের সদস্যদের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং ব্যক্তিদের ওপর সহিংস আক্রমণ করা হয়েছে।

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ এবং কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের কর্মীদের—যারা এই জঘন্য হামলা চালিয়েছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানানো হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, ‘অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করে সম্পূর্ণ বিচারের আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে এই ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’

সরকার সেনাবাহিনী ও পুলিশের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের প্রশংসা করেছে। একইসঙ্গে, এই আক্রমণের মুখেও যারা সাহসিকতার সঙ্গে সমাবেশ চালিয়ে গেছেন—সেই ছাত্র ও জনগণের দৃঢ়তা ও সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

মন্তব্য

সারা দেশ
Attack at NCP rally Anti anti discriminations are called on the street instead of blockade

এনসিপির সমাবেশে হামলা: ব্লকেডের বদলে রাস্তায় নামতে আহ্বান বৈষম্যবিরোধীদের

এনসিপির সমাবেশে হামলা: ব্লকেডের বদলে রাস্তায় নামতে আহ্বান বৈষম্যবিরোধীদের

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের হামলার প্রতিবাদে সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ব্লকেড কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বরং সবাইকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

এ সময়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে সংগঠনটি এমন তথ্য জানিয়েছে।

এতে তারা বলেছে, ‘আপনারা ব্লকেড উইথড্র করে নিন। রাস্তার পাশে অবস্থান কর্মসূচি জারি রাখুন। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত প্রস্তুত থাকুন, সংঘবদ্ধ থাকুন। বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক আসছে।’

এরআগে গোপালগঞ্জে জুলাইয়ের নেতাদেরকে হামলার প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ব্লকেড কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এনসিপির এই পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে মঙ্গলবার থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ নিয়ে সামাজিকমাধ্যমেও ব্যাপক প্রচার চালানো হয়েছে। বুধবার সকালে এনসিপি নেতারা গাড়িবহর নিয়ে শহরে ঢোকার আগেই পুলিশের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে ইউএনওর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।

এসবের মধ্যে বেলা দেড়টার দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল করে এসে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে নেতারা পুলিশি নিরাপত্তায় টেকেহাট হয়ে মাদারীপুর যাওয়ার পথে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে শহরের লঞ্চ ঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে ফের হামলা হয়।

এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সংঘর্ষে গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ পরিস্থিতিতে জেলা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

সারা দেশ
Curfew from 9pm in Gopalganj

গোপালগঞ্জে রাত ৮টা থেকে কারফিউ

গোপালগঞ্জে রাত ৮টা থেকে কারফিউ

গোপালগঞ্জে আজ রাত ৮টা থেকে পরের দিন বিকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মন্তব্য

সারা দেশ
Mirza Fakhrul demanded the arrest and punishment of the attackers in the NCP program in Gopalganj

গোপালগঞ্জে এনসিপি’র কর্মসূচিতে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল

গোপালগঞ্জে এনসিপি’র কর্মসূচিতে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল

গোপালগঞ্জে এনসিপি’র পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে হামলাকারী দুস্কৃতিকারিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব। এনসিপি’র পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিতে পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের সন্ত্রাসীদের ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন মহাসচিব।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুস্কৃতিকারিরা আবারো দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিসহ নৈরাজ্যের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। আজ গোপালগঞ্জে এনসিপি’র পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির ওপর বর্বরোচিত হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, ইউএনওসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ সদস্যদের আহত করার বর্বর ঘটনা সেই অপতৎপরতারই বহিঃপ্রকাশ। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির কারণে আওয়ামী দোসররা মরণকামড় দিয়ে ইন্টেরিম গভর্নমেন্টকে বেকায়দায় ফেলে ফায়দা লুটতে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য এখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এসব দুস্কৃতিকারিদের কঠোর হস্তে দমন ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ দেশে যাতে আবারও ফ্যাসিবাদের উত্থান হতে না পারে সেজন্য দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় দল-মত নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এর ব্যতয় হলে দেশ আবারও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় হুমকির মুখে পড়বে।’

আহত পুলিশ সদস্যদের আশু সুস্থতা কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব।

মন্তব্য

সারা দেশ
The murder of Abu Saeed will soon be tried Law Advisor

দ্রুতই আবু সাঈদ হত্যার বিচার হবে: আইন উপদেষ্টা

দ্রুতই আবু সাঈদ হত্যার বিচার হবে: আইন উপদেষ্টা

দ্রুততম সময়ের মধ্যেই শহীদ আবু সাঈদ হত্যার বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, তার বাবা এই বিচার দেখে যেতে পারবেন।

বুধবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টায় জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের প্রথম শাহাদৎবার্ষিকীতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নামে তোরণ ও মিউজিয়াম এবং শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন এসব উদ্বোধন করেন।

পরে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আসিফ নজরুল বলেন, দ্রুতই আবু সাঈদ হত্যার বিচার হবে — তার বাবা এ বিচার দেখে যেতে পারবেন। এ সরকারের আমলেই জুলাই হত্যার বিচার হবে।

এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, রংপুর অঞ্চলের মানুষ আর বৈষম্যের শিকার থাকবে না। ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন এ বছরেই হবে। এছাড়া কুড়িগ্রামে ইপিজেড হবে। রংপুর অঞ্চলে হবে চীনের অত্যাধুনিক হাসপাতাল।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী। এছাড়াও বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, ডিআইজি আমিনুল ইসলামসহ বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলীর নেতৃত্বে প্রশাসনের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৭টায় পীরগঞ্জের বাবনপুরে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করা হয়।

পরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরে কালো ব্যাজ ধারণ করেন তারা। এরপর ক্যাম্পাসের দক্ষিণ গেট থেকে জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে শোক র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি নগরীর মডার্ন মোড় হয়ে শহীদ আবু সাঈদ গেটে গিয়ে শেষ হয়।

এদিকে বিকেলে জুলাই শহীদ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতরে ক্যাফেটেরিয়ায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও বিকেল সাড়ে ৫টায় দোয়া এবং মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, গত বছরের এই দিনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন।

মন্তব্য

সারা দেশ
"The Director General inaugurated the tree planting program at Ansar Academy"

“আনসার একাডেমিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করলেন মহাপরিচালক”

“আনসার একাডেমিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করলেন মহাপরিচালক”

"পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি"—এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ২০২৫ আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।

গাজীপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাহিনীর মাননীয় মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, এসজিপি, বিএএম, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, সকাল ১১:০০টায় একটি বৃক্ষের চারা রোপণের মাধ্যমে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এই কর্মসূচির আওতায় জাতীয় পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সমন্বিতভাবে ফলজ, বনজ ও ঔষধি প্রজাতির বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে, যা চলবে আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক তাঁর বক্তব্যে বলেন,

“পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি কেবল নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নয়, বরং পরিবেশ সংরক্ষণ ও সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।”

তিনি আরও বলেন,

“দেশের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা, প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় এ ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয়।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি; কর্নেল মোঃ ফয়সাল আহাম্মদ ভূঁইয়া, পিএসসি; ডেপুটি কমান্ড্যান্ট ও কমান্ড্যান্ট (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নুরুল আবছারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে একটি সবুজ, পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গঠনের পথ আরও সুদৃঢ় হবে।

মন্তব্য

p
উপরে